কলকাতা ব্যুরো: রাত যত বাড়ছে তত যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুজোর জাঁকজমকতা। তারাপীঠে সন্ধেবেলায় নিয়ম মেনে শুরু হয় কুমারী পুজো। পুজোর দিন দেখা যায়, কুমারীকে নতুন বেনারসি, সোনার গয়না, শ্বেত ও লাল চন্দনে সাজিয়ে চলছে হোম যজ্ঞ। কোনও ভক্ত এসে কুমারীর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিচ্ছেন কেউ বা তুলছেন সেলফি। এদিন কালীপুজো উপলক্ষে মা তারা কালী রূপে পূজিতা হবেন।
বৃহস্পতিবার গোটা মন্দির চত্বর মাটির প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন রঙের আলোতে মন্দির সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মা তারাকে দু’বার ভোগ দেওয়া হবে। সেখানে পোলাও, পায়েস, বলির পাঁঠার, মাংস, পোড়া শোল মাছ, বিভিন্ন রকমের ভাজা সহ বিভিন্ন সামগ্রী রীতি ও প্রথা মেনে দেওয়া হবে। তারাপীঠের পুজো মানেই ভক্তদের ঢল। করোনা বিধি মেনেই পুজো শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকে পুজো শুরু হয়েছে মঙ্গালারতি দিয়ে। তারপর ৮০ কেজি দুধে দেবাদিদেবকে স্নান করানো হয়েছে। এই দুধ প্রতিবছর ঘোষ পরিবার থেকে অর্পণ করা হয় মায়ের সেবায়।
অপরদিকে কোপাই নদীর তীরে বোলপুরে কঙ্কালীতলা মন্দিরে চলছে পুজো। ৫১ সতী পীঠের মধ্যে অন্যতম হল কঙ্কালীতলা। এখানে মায়ের কাঁকাল অর্থাৎ কোমরের হাড় পড়েছিল বলে কথিত রয়েছে। কঙ্কালীতলায় মহাকালী রূপে পূজিত হন দেবী। সেখানে রয়েছে এক বিরাট কুণ্ড, মায়ের স্নানের জল ওই জায়গা থেকেই তোলা হয় বলে জানা গিয়েছে। এখানে সকাল থেকেই রয়েছে ভিড়। কিন্তু প্রশাসন ও মন্দির কমিটির তরফে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুজো শুরু হয়েছে মন্দিরে।
এদিন দুপুরেই মাকে অন্নভোগে দেওয়া হয়। ছিল ৫ রকমের ভাজা, ডাল, ফ্রায়েড রাইস, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি ও পায়েস। সন্ধ্যায় শ্যামা মায়ের বিশেষ পুজো রয়েছে মন্দিরে। এই শক্তিপীঠের দেবী গর্ভাদেবী নামে প্রসিদ্ধ। ভৈরব রুরু নামে পূজিত হন।