কলকাতা ব্যুরো: হলদিয়া ও দুর্গাপুরের মাঝে রাজ্যের প্রস্তাবিত শিল্প করিডরে আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে ৪৩,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে পারে। এমনই আশাপ্রকাশ করেছেন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের এক শীর্ষ আধিকারিক। এছাড়াও পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি পর্যন্ত দ্রুত গতির ফ্রেট করিডর রাজ্যের শিল্পের গতিকে আরও চাঙ্গা করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাজেশ রাঠোর জানিয়েছেন, ডানকুনি-হলদিয়া-খড়পুর-কল্যাণী-দুর্গাপুর সেক্টরে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ হতে পারে। সিআইআইয়ে রাজ্যের ইস্ট ইন্ডিয়া সামিটে তিনি বলেন, “আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে এই বিনিয়োগ আশা করছি।
তিনি আরও জানান, কোভিড অতিমারির সময়ে যেখানে দেশের অর্থনীতি ৭ শতাংশেরও বেশি কমেছিল, সেখানে রাজ্যে শিল্প ক্ষেত্রে ১.২ শতাংশ ইতিবাচক বৃদ্ধি হয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে ডেটা সেন্টার এবং ইথানল প্রকল্প স্থাপনে সাম্প্রতিক আগ্রহ অনেক বেড়েছে। রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য যে প্রকল্পগুলি হাতে নিয়েছে, সেগুলিও তুলে ধরেন তিনি। জানান ‘জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরী’ প্রকল্পের কথা। পুরুলিয়া জেলায় ২,৪৮৩ একর জমিতে একটি শিল্প জনপদ মডেলে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্লাস্টার হিসেবে তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প।
এছাড়াও আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির সংযোগরক্ষাকারী এশিয়ান হাইওয়ে প্রজেক্টের কথা। নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সঙ্গে সংযোগ রক্ষায় তৈরি হচ্ছে জাতীয় সড়ক। মঙ্গলবার ফিউচার মোবিলিটি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহন ও ব্যাটারি স্টোরেজ উৎপাদনের হাব হয়ে উঠবে পশ্চিমবঙ্গ ৷ গত জুন মাসে ইলেকট্রনিক ভেহিকল পলিসি বা বৈদ্যুতিন যান নীতি গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার ৷