কলকাতা ব্যুরো: বলিউডের মেগাস্টার শাহরুখ খান ও প্রযোজক গৌরী খানের ছেলে আরিয়ান খানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। শনিবার একটি প্রমোদ তরীতে মাদক পার্টিতে হানা দিয়ে এনসিবি যাঁদের আটক করেছে, সেই তালিকায় রয়েছেন আরিয়ানও।
ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ঘুরছে কয়েকটি টিভি চ্যানেলে। সেখানে এনসিবি অফিসে আরও কয়েকজনের সঙ্গে হতভম্ভ অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে শাহরুখ-পুত্রকে। তাঁর সঙ্গে আরও যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও বেশ কয়েকটি বড় নাম থাকতে পারে বলে জল্পনা চলছে।

এনসিবি মুম্বইয়ের অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের উপকূলে ক্রুজে মাদক পার্টিতে হানা দেওয়ার ঘটনায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচা, নুপূর সারিকা, ইসমীত সিং, মোহক জসওয়াল, বিক্রান্ত চোকের ও গোমিত চোপড়াকে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এটা গত ২ সপ্তাহ ধরে করা কঠিন তদন্তের ফল। এর সঙ্গে বলিউডের কয়েকজনের যোগ থাকার নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য থাকায় এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময়, বলিউড তারকা সন্তান আরিয়ান জানিয়েছেন, তাঁকে এই পার্টিতে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য টাকা দেননি তিনি। এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, আরিয়ানকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এনসিবি-র জিজ্ঞাসাবাদে আরিয়ান আরও দাবি করেছেন, যাঁদের পার্টি তাঁদের তরফে তাঁর নাম করেই সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সূত্রের আরও খবর, ক্রুজের ভিতরে পার্টি চলার একটি ভিডিও এনসিবির হাতে এসেছে। যেখানে আরিয়ানকে দেখা যাচ্ছে। পার্টি চলাকালীন আরিয়ানকে সাদা টি-শার্ট, নীল জিন্স, লাল খোলা শার্ট এবং ক্যাপ পরে থাকতে দেখা যায়। এনসিবি মুম্বইয়ের প্রধান নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যাঁদের আটক করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরিয়ান খানও। এনসিবি -র সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, যারা ধরা পড়েছে তাদের কাছ থেকে রোলিং পেপারও পাওয়া গেছে। নজরে রয়েছেন এফটিভি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাশিফ খানও।

জানা গেছে যে দিল্লি ভিত্তিক এক কোম্পানি নমস্ক্রে এক্সপেরিয়েন্স এই পার্টির আয়োজন করেছিল। একটি টিকিটের দাম ৮০ হাজার টাকা। যে ক্রুজ ভাড়া নিয়ে এ কাজ করা হয় তা হল মুম্বইয়ের কর্ডেলিয়া ক্রুজ। সেখানেই এই হাই প্রোফাইল ড্রাগ পার্টি চলছিল।
তবে এই প্রথম নয়, আরিয়ান খানও এর আগে ভুয়ো এমএমএস নিয়ে বিতর্কে পড়েছেন। যে এমএমএস ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে একটি ছেলেকে গাড়িতে একটি মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায়। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, বলা হয় এমএমএস ভিডিওতে দেখা ব্যক্তি আরিয়ান, তবে পরে ভিডিওটি ভুয়ো বলে জানানো হয়।
দিন যত এগোচ্ছে ততই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হচ্ছে বলিউড আর ড্রাগসের অবৈধ সম্পর্ক। বিগত কয়েকবছর ধরেই লাইমলাইটে বলিউডের ড্রাগস চক্র। সুশান্ত সিং রাজপুতের অকালমৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চক্রের মূল পান্ডার হদিশ পেতে চাইছে এনসিবি। ইতিমধ্যেই বলিউডের বহু নামজাদাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা।