কলকাতা ব্যুরো: সোমবারাই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, সাইক্লোন গুলাব শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার জেরে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, ওড়িশায় ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। তবে এবার কাহানিতে ট্যুইস্ট। বঙ্গোপসাগরে ফুঁসে ওঠা এই সাইক্লোনের নতুন আশ্রয়স্থল এবার আরব সাগর। এবার সেখান থেকেই সাইক্লোন গুলাব ফের নতুন চেহারা নিতে চলেছে বলে জানিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান মেটেওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, এবার সাইক্লোন গুলাব ফের একবার পুর্নজন্ম নিয়ে সাইক্লোন ‘শাহিন’ নাম নিয়ে সাগরে ফুঁসে উঠতে চলেছে।
আইএমডি-র তরফে সতর্ক বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, গুলাবের প্রভাবে ভারতের পশ্চিম উপকূলে ধেয়ে আসতে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়। শুক্রবারই এই ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্ব আরব সাগর এবং গুজরাত উপকূলে ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত আবির্ভূত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এক আইএমডি কর্তা জানিয়েছেন, সম্ভবত শুক্রবারে সিস্টেমটি আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে, যার জেরে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় শাহিন তৈরি হতে পারে।
উত্তর পূর্ব আরব সাগর ও তার সংলগ্ন এলাকায় এই ঝড় প্রবল প্রতাপ দেখাতে শুরু করবে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এ ভাবে একটি ঘূর্ণিঝড়ের লেজ থেকে শক্তি বাড়িয়ে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার ঘটনা বিরল। প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল যে, সাইক্লোন গুলাব সম্ভবত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রভাব দেখাবে। এবার সেই গুলাবের পুর্নজন্ম হওয়া ‘সাইক্লোন শাহিন’ আরব সাগরের কূলে অবস্থিত রাজ্যগুলিতে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রভাব দেখাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরব সাগরে ৯৬ থেকে ১২০ কিলোমিটারের গতিতে বয়ে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র, গোয়া, কঙ্কন, মধ্যপ্রদেশে প্রবল পরিমাণে বর্ষণ হতে পারে। যদিও পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়টি ওমানের দিতে চলে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী ছিল দেশ। সেই সময়ে তামিলনাড়ু-পুদুচেরি উপকূলে আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন গাজা। পরবর্তীকালে তা শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপের রূপ ধরে। সেই নিম্নচাপই আবার আরব সাগরে নতুন করে জন্ম দেয় আরও একটি সাইক্লোনের।