কলকাতা ব্যুরো: বঙ্গে সেভাবে দাপট দেখাতে পারবে না গুলাব। এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস বলেন, কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়বে গুলাব অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশের খুব কাছেই ল্যান্ডফল হবে। মাঝে ওডিশা রয়েছে। ফলত পশ্চিমবঙ্গের উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না। তবে পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা সবসময়েই থাকে। এবারও রয়েছে। গুলাবের দাপটে ঝড়বৃষ্টি হতেই পারে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বিশাখাপত্তনম ও গোপালপুরের মাঝের অংশে আছড়ে পড়বে গুলাব। বর্তমানে তা অবস্থান করছে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। এই মুহূর্তে ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার। অতি ভারী নিম্নচাপের আকারে তা অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগরে। আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর এর জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।
তবে গুলাবের প্রভাব খুব বেশি না পড়লেও জি কে দাস জানিয়েছেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর একটি ঘুর্ণাবর্ত তৈরি হবে সমুদ্রে। তার প্রভাব বাংলায় অনেকটাই পড়বে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখ আমাদের রাজ্যে নিম্নচাপ আকারে প্রবেশ ওই ঘুর্ণাবর্ত। এর প্রভাবে রবিবার শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই ভারী বৃষ্টি হবে। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া বইবে। বাকি জেলাতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, আগামী ৫ অক্টোবর সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করল নবান্ন। আবহাওয়া দফতরের তরফে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

সোমবারও আবহাওয়া একইরকম থাকবে। আগামী ২৮ তারিখ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়ার গতি থাকবে ৭০-৮০ কিমি। আগামী ২৭-২৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর সহ কলকাতায় ঘণ্টা প্রতি ৩০-৪০ কিমি বেগে হাওয়া বইবে। তার পরের দু’ দিন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিমের জেলাতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় ভারী বৃষ্টি শুরু হবে রবিবার থেকেই। যা পরের সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। মৎস্যজীবিদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।