কলকাতা ব্যুরো: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসলো কলকাতা পুরনিগম। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাত্র চারদিনের জ্বরে মৃত্যু হয়েছে বেহালা জেমস লং সরণির বাসিন্দা অভিরূপ সাহার, বয়স ১৯ বছর ৷ তারপরই বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরনিগমে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তথা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ।
বৈঠক শেষে অতীন ঘোষ জানান, কলকাতা পৌরনিগমের ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর বরোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি রয়েছে। এই চার বরোর মধ্য়ে ৭ নম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। প্রতিদিনই বোরোগুলিতে ১০ থেকে ১২ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ধরা পড়েছে।
এই মুহূর্তে কলকাতায় মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। যার মধ্যে অধিকাংশই এই চার বরোতে। অতীন ঘোষ আরও জানান, কলকাতা পুরনিগমের যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা টিকাকরণের কাজে নিযুক্ত ছিলেন তাদেরকে এবার ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের কাজে দেওয়া হবে। যেহেতু শহরের অধিকাংশ নাগরিকের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে তাই পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা এবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করবেন। ঘিঞ্জি বস্তি এলাকার ওই চারটি বরোতে পরিযায়ী শ্রমিকদের বসবাস। তাই এই সব এলাকা অনুযায়ী শ্রমিকদের রক্ত পরীক্ষা করবে কলকাতা পুরনিগম।
ডেঙ্গুতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ বলেন, গণেশ পুজো উপলক্ষে ছেলেটি বরাহনগরে মামাবাড়ি গিয়েছিল। গত শনিবার থেকে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করায় তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার প্লেটলেট কমতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যদিও মৃত ছাত্রের বাড়ির চারপাশে কোনও ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি । ইতিমধ্যে বরাহনগরে তার মামার বাড়িতে পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে ৷ রিপোর্ট এসে পৌঁছালে জানা যাবে কোথা থেকে ওই ছাত্র ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷