কলকাতা ব্যুরো: ভবানীপুরে এখনই নির্বাচন না করলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে মুখ্যসচিবের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাওয়া হয়েছিল জবাব। তার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার নির্বাচন কমিশন যে হলফনামা জমা দিল তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। ত্রুটিপূর্ণ হলফনামা জমা দেওয়ায় তা আদালতের তরফে এদিন গ্রহণ করা হয়নি। একই সঙ্গে সেখানে আদালতে তোলা প্রশ্নের কোনও জবাব না থাকায় বিরক্ত হাইকোর্ট শুনানি শেষ হলেও এদিন রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। এই উপনির্বাচন ঘিরে কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল, এই নির্বাচন না হলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট দেখা যাবে বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করে আদালত। হাইকোর্টের প্রশ্ন ছিল সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এই বক্তব্যটি কার, নির্বাচন কমিশন নাকি রাজ্যের মুখ্যসচিবের?
অন্যদিকে, ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় একটি নতুন প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে, যার শুনানি আগামী দিনে চলবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এক্ষেত্রে শুধু ভবানীপুর না সামগ্রিক ভাবে আদালতের বক্তব্য হল, গোটা দেশে ভোটে জেতার পর সেই আসন অন্যের জন্য ছেড়ে দেওয়া বা নতুন করে ভোট করানোর পরিস্থিতি তৈরির প্রবণতা রয়েছে। এজন্য জনগণের টাকা খরচ হচ্ছে।
এক্ষেত্রে আদালতের প্রশ্ন, এসব ক্ষেত্রে ভোটের খরচ কেন জনগণের টাকায় হবে? আগামী দিনে বৃহত্তর স্বার্থে এই শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ভবানীপুর নির্বাচন এখনই না করানো হলে, সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, কমিশনের বিজ্ঞপ্তি থেকে ওই অনুচ্ছেদটি বাদ দেওয়া হোক।