কলকাতা ব্যুরো: ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরে ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হতে পারে বলে জো বাইডেন আশঙ্কা প্রকাশের পর এক দিনও কাটল না, জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী। রবিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর লাগোয়া খাজা বুগরা এলাকায় একটি আবাসন লক্ষ্য করে রকেট হামলা চলে। সেখানে কমপক্ষে দুই জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসার মধ্যেই আমেরিকান সেনা কাবুল বিমানবন্দরের সামনে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে বলে খবর ছড়ায়। তালিবান মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আই এস আইএস আত্মঘাতী জঙ্গিরা হামলার জন্য ওই গাড়ী করে যাওয়ার সময় আমেরিকান সেনা সেটিতে হামলা চালায়। তবে এই জোড়া বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা কত তা স্পষ্ট করতে পারেনি কোন প্রশাসন।
তবে খাজা বুগড়ায় যে বাড়ি লক্ষ্য করে রকেট হানা হয়, সেখানে প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আগুন লেগে যায় বিশাল অংশজুড়ে। সেই ধোঁয়া দেখা যায় বহুদূর থেকে। যদিও এই বিস্ফোরণের দায় এখনো কোন সংগঠন না নিলেও আশঙ্কা আইএস এই হামলার পিছনে রয়েছে। যদিও বিমানবন্দরের সামনে যে গাড়িতে আমেরিকান সেনা হামলা চালিয়েছে, সেই গাড়িতে কারা ছিল সে ব্যাপারে বাইডেন সরকারের এক মুখপাত্র রবিবার রাতে জানান, ওই গাড়িতে আইএএস আত্মঘাতী বাহিনীর একাধিক সদস্য ছিল। তাদের গোয়েন্দা ইনপুট সুনির্দিষ্ট থাকায় ড্রোন হামলায় জঙ্গিদের নিকাশ করা গিয়েছে বলে দাবি আমেরিকান মুখপাত্রের। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে আমেরিকান দুই সেনা অফিসার আত্মঘাতী বাহিনীর নানা রকম বিস্ফোরক নিয়ে ওই গাড়িতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে কাবুল বিমানবন্দরে আইএস জঙ্গিদের একটা অপচেষ্টা ব্যর্থ হল বলে তালিবান মুখপাত্রর দাবি। কিন্তু যেভাবে আইএস হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তাতে বিমানবন্দরে ফের হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দা সংস্থা গুলির।
আর একদিন বাদে ৩১ আগস্ট আমেরিকা থেকে যৌথবাহিনীর সরে যাওয়ার শেষ দিন। আদপে বিদেশি সেনা সরে যাওয়ার পর পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে কাবুলে এখন তা নিয়ে আরো জল্পনা শুরু হয়েছে। ন্যাটো বাহিনী সরতে শুরু করতেই দুই সপ্তাহ আগে থেকে তালিবানরা কাবুল বিমানবন্দরে দখল নিতে শুরু করে। আগামী দু’দিনের মধ্যে আমেরিকার বাহিনী কাবুল ছাড়লে সেই জায়গা তালিবানরাই নেওয়ার কথা। কিন্তু একের পর এক আইএস জঙ্গি হামলা এবং হামলার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ন্যাটো বাহিনী কি কৌশল নেয়, এখন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। দু’দিন আগেই জঙ্গীদের হামলায় কাবুল বিমানবন্দরে সামনে ১৮০ জন মারা যান। তাদের মধ্যে ১৩ জন আমেরিকান সেনা। এই অবস্থায় রবিবার আইএস জঙ্গিদের খতম করার পর ফের তারা হামলার তোড়জোড় করবে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দা সংস্থা গুলির।