কলকাতা ব্যুরো: তালিবানি রাজে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। এবার সেই আফগানিস্তানে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করলো জো বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকা জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দর এখন পুরোপুরি সুরক্ষিত এবং মার্কিন সেনার দখলে। আগষ্টের মধ্যেই সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও প্রয়োজনে আগস্টের পরেও আফগানিস্তানে থাকবে মার্কিন সেনা এমনটাই জানানো হয়েছে।
তবে আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতির জন্য বাইডেন প্রশাসনের ওপরই আঙুল তোলা হয়েছে। প্রায় দু’দশক ধরে আফগানিস্তানে থাকার পর হঠাৎ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, ২০ বছরেও তালিবান সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করা, এতো দীর্ঘ সময়েও আফগান সেনাকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দেওয়া, এমন সব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে।
স্বাভাবিকভাবেই চাপের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বড়সড় কোনও পদক্ষেপ করতে হতো। তিনি দেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছেন, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে আর কোনও অস্ত্র বিক্রি যেন না করা হয়। পাশাপাশি বাইডেন জানিয়েছেন, ‘আমেরিকা গোটা বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। কিন্তু বন্দুকের নলে মহিলাদের অধিকার রক্ষা করা যায় না। আফগানদের দেখাশোনার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তালিবানদেরই নিতে হবে।’
তবে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অবশ্য নিজের উপর দায় নিতে নারাজ বাইডেন। তিনি বলছেন, আমেরিকা গোটা বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর কিন্তু বন্দুকের নলে মহিলাদের অধিকার রক্ষা করা যায় না। আফগানদের দেখাশোনার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তালিবানদেরই নিতে হবে। যদিও বাইডেনের দাবি, তালিবান এখনও আগের মতোই গোঁড়া মানসিকতারই রয়ে গিয়েছে।