কলকাতা ব্যুরো: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি বিরোধী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গত মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়াদিল্লিতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী সহ একাধিক বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। আর তারপর এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এখন ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বিরোধী জোট। ২০২৪ নির্বাচনকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে বিরোধী জোট। বাদল অধিবেশন জুড়ে ঘন ঘন বৈঠক হতে দেখা গিয়েছে। এবার বিরোধীদের জন্য একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আগামী ২০ আগস্ট এই আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী বিশেষ পরিকল্পনা করেছেন। আর সেই কারনেই তিনি আলোচনা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উদ্ধব ঠাকরে–সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাদল অধিবেশনে সংসদে বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে যে ঐক্য দেখিয়েছে তাকে সম্মান জানাতেই এই বৈঠকের আয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি কোনও গোপন পরিকল্পনা এই বৈঠকে হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন থেকে ঝাডখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই বৈঠকেই নয়াদিল্লিতে বিরোধীদের পরবর্তী মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেটা সেপ্টেম্বরেই রাখতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাওয়া যাবে।
সূত্রের খবর, জোটের ফর্মূলা আগে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশান্ত কিশোরকে দূত হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। পরে নিজে দিল্লি এসে বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এবার কংগ্রেসের পরিকল্পনা রয়েছে এই বিরোধী জোটকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তাই এই পরিস্থিতিতে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা নৈশভোজের অনুষ্ঠান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ তবে সেখানে কারা উপস্থিত হবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায় নি।