কলকাতা ব্যুরো: আর ‘এলএম১০’ নয়, এবার ‘এলএম৩০’। হ্যাঁ যাবতীয় প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৩০ নম্বর জার্সি পরেই প্যারিসের মাঠে নেমে পড়লেন লিওনেল মেসি। একেবারে প্যারিস সাঁ-জাঁ’র (পিএসজি) ঘরের ছেলে হয়ে। তবে মেসি ৩০ নম্বর জার্সি নম্বর বেছে নেওয়ায় অনেকেই নস্টালজিয়ায় ভেসে গিয়েছেন কারণ ১৭ বছর আগে বার্সার সিনিয়র দলের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামার সময় মেসির জার্সি নম্বর ছিল ৩০। দুটি মরশুমে ১৯ নম্বরের জার্সিও পড়েছিলেন লিও। তারপর ২০০৮ সালে ১০ নম্বর জার্সি বেছে নিয়েছিলেন মেসি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) প্যারিস সাঁ-জাঁ’র তরফে ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে সরকারিভাবে দলে মেসির যোগদানের খবর জানানো হয়। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘পিএসজি * মেসি : প্যারিসে একটি নয়া হিরে।’ সেই ভিডিয়োর একেবারে শেষ লগ্নে আবার লেখা আছে, ‘লিও মেসি ২০২৩’ অর্থাৎ দু’বছরের চুক্তিতে প্যারিসে যোগ দিয়েছেন মেসি। তবে ফরাসি ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় বছরের একটি বিকল্পও আছে।
এদিন সরকারিভাবে প্যারিসের ঘরের ছেলে হওয়ার পর মেসি বলেন, ‘প্যারিস সাঁ-জাঁ’য় আমার কেরিয়ারের নয়া অধ্যায় শুরু করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। ফুটবল নিয়ে আমার যে স্বপ্ন, তার প্রতিটি এই ক্লাবের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। আমি জানি, এখানকার খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা কতটা প্রতিভাবান। ক্লাব এবং সমর্থকদের জন্য ভালো কিছু করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমি।’
অন্যদিকে প্রিয় বন্ধুর দলে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত নেইমার। দুই লাতিন আমেরিকান তারকার বন্ধুত্বের উদাহরণ এ বছর কোপা আমেরিকা ফাইনালের পরেই গোটা বিশ্ব দেখেছিল। ম্যাচের শেষে মেসির সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতেও দেখা যায় নেইমারকে। এবার আবারও একই ক্লাবের হয়ে খেলবেন দু’জনে। সেই সুযোগেই মেসিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাগত জানিয়ে দু’জনের পুরানো গোল ও অ্যাসিস্টের ভিডিয়ো পোস্ট করেন নেইমার। ক্যাপশনে লেখেন, ‘পুনরায় একসঙ্গে।’

প্রসঙ্গত, মেসিকে দলে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। তাঁকে মেসেজ করা থেকে দলে যোগ দিতে রাজি করানো, পুরো প্রক্রিয়াটির সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন নেইমার। এমনকী মেসির জন্য় নিজের ১০ নম্বর জার্সি অবধি ছেড়ে দিতে রাজি ছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ যদিও তা হয়নি। পিএসজির হয়ে ১০ নম্বর জার্সিতে দেখা যাবে না মেসিকে। ওই জার্সি নাম্বার থাকছে নেইমারের দখলেই।