গৌর শর্মা
ঝাড়খন্ড ও বিহারে লাগাতার বৃষ্টিতে এ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হতে বসেছে। শুক্রবার যেখানে মাইথন ড্যাম থেকে সাড়ে আট হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল, শনিবার তা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে পাঞ্চেত বাঁধ থেকে শুক্রবারের পর শনিবারও ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বানভাসি অবস্থা আরো বেড়েছে। আবহাওয়া দপ্তর প্রতিবেশী রাজ্যের আরো কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে। ফলে তার জেরে ব্যারেজ গুলি থেকে জল ছাড়লে এ রাজ্যে বন্যার পরিস্থিতি আরো প্রকট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলাশাসক দেব বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছে। একইসঙ্গে ডিভিসিকে রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করে জল ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শুক্রবার মাইথন থেকে সাড়ে আট হাজার কিউসেক জল ছাড়া হলেও শনিবার সেখান থেকে ছাড়া হয়েছে ২৪ হাজার কিউসেক জল। ফলে পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক হয়ে উঠেছে।
জামুরিয়া, রানিগঞ্জ ছাড়াও আসানসোল ও দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বানভাসি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চিত্তরঞ্জনের বহু এলাকা জলমগ্ন। পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকায় আরো জল বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই আউসগ্রাম এলাকায় জল বাড়ছে। বর্ষার বৃষ্টিতে এমনিতেই বীরভূমে নদীগুলি জল বাড়তে শুরু করেছে। ঘাটালে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এরইমধ্যে হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুল ও গোঘাটে বন্যা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বাঁকুড়া জয়পুর ও কোতুলপুর বন্যা পরিস্থিতির জন্য নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যের বৃষ্টিতে এ রাজ্যে এখন বন্যার ভ্রুকুটি।