মৈনাক শর্মা
গোপনীয়তা নিয়ে নতুন নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যা গত ফেবরুয়ারিতে জারী করা হলেও বাস্তবে সেই নির্দেশ পালন করেনি হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, অন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কস সমেত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গুলী। তাই সমস্ত নির্দেশ পালনের লক্ষে আজ থেকেই সমস্ত সোশ্যাল অনলাইন সাইট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন কন্দ্র সরকার। যার পড়েই নিন্দায় সরব হয় নেটিজেনরা।
প্রতিটি ম্যাসেজ কেই নজর রাখতে । বেশি share হাওয়া ম্যাসেজ প্রথম কে ছড়ায় তার নাম জানতে হবে সরকারকে। যা সমস্যায় ফেলেছে end to end encryption নীতি মেনে চলা হোয়াটস অ্যাপকে। তাই গোপনীয়তা বজায় রাখতে দিল্লী হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে হোয়াটস অ্যাপ। নুতুন আই.টি আইনের অনুচ্ছেদ ৭৯ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির আপত্তিকর ম্যাসেজ বা রুপোলি পর্দার কোনো দৃশ্যর ফলে কারোর সম্মান হানী হলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কস গুলীর পরিবর্তে মামলা দায়ের করা যাবে আপত্তিকর মন্তব্য করা ব্যাক্তি বা নির্দেশকের বিরুদ্ধে।
নতুন আই টি নীতির না মানার কারণে একাধিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কস রোষের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারের। কিছু দিন আগেই কৃষি আইন নিয়ে টুইটারে চলা টুল কিডের মাধ্যমে আসল সমস্যা না জেনেও ভারত সরকারকে তুলোধনা করে বিশ্বের সেলেবরা। তার পুনরাবৃত্তি চাইনা দিল্লী। নতুন নিয়মে মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদ ১৯ (১ক) অর্থাৎ বাক স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবী করেন নেটিজেনরা। ভবিষ্যতে এই অধিকারকে নিষ্ক্রিয় করতেই সরকারের এই পদক্ষেপ নেওয়া দাবী বিরোধী দলের।
কেবল মাত্র ভুয়ো খবর কে রুখতেই এই পদক্ষেপ । সোশ্যাল নেটওয়ার্কস গুলীর দেখানো দৃশ্যকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষে কেন্দ্র। একেই ওয়ার্ল্ড প্রেস ইন্ডেক ১৪২ স্থানে ভারত। বর্তমানে সমস্ত সোশ্যাল নেটওয়ার্কস কে বন্ধ করলে আরও পিছিয়ে পড়বে মত বিশ্লেষকদের।