মৈনাক শর্মা
উগ্রপন্থার প্রসঙ্গ উঠতেই প্রথমেই মাথায় আসে পাকিস্থান। আর আশ্চর্যজনক ভাবেই পাকিস্থানে আয়োজিত হতে চলেছে সাংহাই করপোরেশন অর্গানাইজেশনের উগ্রপন্থা দমণ মহড়া। তবে এর থেকেও আশ্চর্য্য হল, এই মহড়ায় অংশ নিতে পারে ভারতীয় সেনা ও চিন। অর্থাৎ ইতিহাসে প্রথম বার পাক ও চিনা লালফৌজের সাথে যুদ্ধ মহড়ায় দেখা যাবে ভারতীয় সেনাদের। যদিও এই বিষয়ে ভারতের সুরক্ষা বিভাগের তরফে কোন সম্মতি এখনও না আসলেও, বিগত কয়েকদিনের মধ্যে ভরত- পাক সুসম্পর্কের জেরে এই মহড়ায় দিল্লির সম্মতিতে আশাবাদী বিশ্ব রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যর্থ ইসলামাবাদ, তাই দুনিয়াতে বার বার সমালোচনার মুখে পড়েছে ইমরান খানের সরকার। বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন রাজ্যের পাব্বিতে আয়োজিত হতে চলেছে এস সি ওর সন্ত্রাসবাদ দমনের মহড়া। সেই একই জায়গাতেই আছে পাক কাউন্টার টেরিজম সেন্টার। আর ঠিক সেই জায়গার আধ ঘণ্টার দুরত্বেই আব্যটাবাদেই ২০১১ সালে মার্কিন সেনার গুলিতে মারা যায় ওসামা বিন লাদেন। অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদের নেপথ্যে পাক সরকারের সাহায্যর প্রমাণও মেলে বহুবার।
ভারত, চিন, পাকিস্তান ও রাশিয়া এস সি ও র প্রধান সদস্য। সম্প্রতি দিল্লির সাথে বিবাদ কমেছে চিন ও পাকিস্তানের। অর্থাৎ পাক ও চিনের সাথে সব কিছু ঠিক থাকলে, এই মহড়ায় ভারতের অংশগ্রহণে আপাতত আপত্তি নেই, কিন্তু ভারত এখন কোয়াড সদস্যা। সে ক্ষেত্রে পাক সম্পর্ক দিল্লিকে সমস্যায় না ফেললেও, চিনের সাথে দিল্লির সুসম্পর্ক কতটা ভালো ভাবে নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তা মাথায় রাখতে হবে দিল্লিকে, তাছাড়া চিনের উপর সম্পুর্ণ ভরসা ভারতের জন্য ভালো নয়, মানছেন বিশ্লেষকরা