কলকাতা ব্যুরো : শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর অবৈধ সম্পর্ক আছে এই সন্দেহে শিক্ষকের বাড়িতে বেপরোয়া ভাঙচুর চালালো এলাকাবাসী। রোষের মুখে ওই শিক্ষক দোতলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই নিয়ে সোমবার রাতে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় কাটোয়া থানা এলাকার মণ্ডলহাটে। কাটোয়ার রাজমহিষী উচ্চ বিদ্যালয়ে পার্শ্বশিক্ষকতা করেন মণ্ডলহাটের বাসিন্দা রমেন তালুকদার।
কাটোয়ার পানুহাট এলাকার এক ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে এলাকাবাসী ওই শিক্ষককের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। উত্তেজিত জনতার রোষের হাত থেকে বাঁচতে অভিযুক্ত শিক্ষক রমেন তালুকদার বাড়ির দোতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন।
খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ আহত শিক্ষককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পড়ে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই শিক্ষককে চিকিত্সার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
অথচ যে ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহেকে কেন্দ্র এই ঘটনা সেই ছাত্রীর পরিবারের তরফ থেকে শিক্ষককের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ওই ছাত্রীর মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে নিয়ে ওই শিক্ষক ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাড়ার লোকজন মাস্টারের বাড়িতে চড়াও হয়ে এই ঘটনা ঘটায়। তিনি আরও জানান এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই।
অভিযুক্ত শিক্ষককের পরিবারের দাবি, কিছু বোঝার আগেই পাড়ার লোকজন আচমকায় তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালায়। মানুষের ক্ষোভ থেকে বাঁচতেই দোতলার ছাদ থেকে নীচে লাফিয়ে পড়েন তিনি। শিক্ষকের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আচমকা কেন শিক্ষককের বাড়িতে এলাকাবাসী ভাঙচুর চালালো এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। পুলিশকর্তারা জানান, ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।