কলকাতা ব্যুরো: গত দিন ছয়েক ধরে লোকালয়ে বাঘের হানায় রীতিমতো আতঙ্ক সুন্দরবনের দেবীপুর এলাকায়। কয়েকদিন আগে আজমলমাড়ির জঙ্গল থেকে ভোর বেলায় একটি বাঘ ঢুকে পরে মইপিট কোস্টাল থানার দেবীপুর মুন্ডাপাড়া এলাকায়। তারপর থেকে আর বাঘটির সন্ধান নেই। এমনকি বাঘটিকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়নি। গ্রামের মানুষ মাঝেমধ্যে গ্রামের জঙ্গলে বাঘটির উপস্থিতি টের পেয়েছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। বাঘের টিকিটিও ছুঁতে পারেনি বনদপ্তর।
ফলে সেই বাঘকে নিয়ে এখন একদিকে যেমন আতঙ্ক, অন্যদিকে তাকে ধরার জন্য কয়েকদিন ধরে কোমর বেঁধে গ্রামে পড়ে রয়েছে বনদপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা। তাদের সঙ্গেই গ্রামের বাসিন্দারা নেমে পড়েছেন। কিন্তু কখনো গ্রামের জঙ্গল আবার কখনো পাশের ধানক্ষেতে বাঘের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।
কিন্তু তাকে ধরার জন্য জাল পাতা থেকে শুরু করে পটকা ফাটানো, ক্যানেস্তারা বাজানো চলছে। সবাই রীতিমত চিৎকার করে গ্রামবাসীদের গলা ভাঙার জোগাড়। কিন্তু হালুম করে তিনি এখনো পর্যন্ত এসে দাঁড়ান নি মানুষের সামনে।
আজমল মাড়ির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাগরি নদী পেরিয়ে বৈকন্ঠপুর আদিবাসী পাড়ায় কয়েকদিন আগে বাঘটি ঢুকে পড়ে। সেটিকে দেখেন ভোর বেলায় কয়েক জন গ্রামবাসী। নদী থেকে উঠে রীতিমতো বাঁধের রাস্তা ধরে হেলতে-দুলতে এগিয়ে যাচ্ছিল আরো দূরে। কিন্তু ভোর বেলায় গ্রামবাসীদের দেখেই সে দ্রুত রাস্তা থেকে নেমে পড়ে পাশের ধানের ক্ষেতে ঢুকে যায়। তখন থেকে গ্রামবাসীরা চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। সেই বাঘ ধরার চেষ্টা এখনো জারি রয়েছে। কিন্তু তার দেখা নেই। অথচ সেই বাঘ গ্রামে এখনো আছে বলে মনে করছেন গ্রামবাসী থেকে বনদপ্তরের কর্মীরাও।