কলকাতা ব্যুরো : আজ মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জনসভা। শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পর তৃণমূল ছাড়ার জল্পনার কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নেতাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক সভাপতি মেঘনাথ পাল এবং ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে নতুন ব্লক সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে।
একদিকে “দাদার অনুগামী” এবং অন্যদিকে “দিদির অনুগামীদের” মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই শুভেন্দুর গড় বলে পরিচিত মেদিনীপুরে তাই মুখ্যমন্ত্রী আজ নিজের ক্ষমতা যাচাই করে নিতে চাইছেন। মেদিনীপুরে কতজন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগদান করেন, কোন কোন নেতাকর্মী সভায় আসেন সেই সব দিকে আজ কড়া নজর থাকবে তৃণমূল নেতৃত্বের। পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬ জন বিধায়ক এর মধ্যে ১২ জন রয়েছেন। ১২ জন বিধায়ক এর মধ্যে শুভেন্দু একজন। বাকি ১১ জন বিধায়ক। এর মধ্যে খেজুরির বিধায়ক রনজিত মন্ডল ও ময়নার বিধায়ক সংগ্রামী সহ কয়েকজন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও তাদের দাবি তারা তৃণমূলের রয়েছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে মমতার সভায় এই জেলা থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি। তবুও দলের প্রতি আনুগত্য দেখানোর জন্য শুভেন্দু বিরোধী শিবির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন বাসে এবং গাড়িতে করে সভায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। আইএনটিটিইউসি সভাপতি দিব্যেন্দু রায় জানিয়েছেন নেত্রীর সভায় দলীয় সমর্থকদের নিয়ে যাবার জন্য দলীয় ভাবে নির্দেশ নেই। তবে দলের কর্মী এবং সমর্থকরা অনেকেই সভায় যাবার জন্য উৎসুক। সেজন্যই বাস ভাড়া করে বা ছোট গাড়িতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভাকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শংকরপুরের এক হোটেলে এক চা চক্রে তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী সভা করতে এলে ভিড়ের চাপে সভা মঞ্চ ভেঙে যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন। যদি তিনি মনে করেন মেদিনীপুরের লোক হবে না তবে বিজেপির লোক পাঠিয়ে দিতে পারে। না হলে ফাঁকা মাঠে মুখ্যমন্ত্রীকে সভা করতে হবে। দেখতে খারাপ লাগবে।