কলকাতা ব্যুরো : দীপাবলীর আগে থেকেই শিয়ালদাহ হাওড়া স্টেশন থেকে শহরতলীর ট্রেন চালানো হয় । ট্রেন যাত্রীদের বিক্ষোভ এই সরকার এবং রেল বাধ্য হয়ে শহরতলীর ট্রেন চালানো শুরু করে। প্রথম দফায় রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা গত ১১ ই নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে। এদিকে জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নন সাবারবান বিভাগে ট্রেন না চলায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। উল্লেখ্য ট্রেন চালায় কলকাতার সঙ্গে রেল সূত্রে যুক্ত হয়েছে বেশকিছু জেলা। তবে বীরভূম মুর্শিদাবাদ বর্ধমানের একটা বড় অংশ এখনো রেল মারফত কলকাতা সঙ্গে যোগাযোগ হীন ছিল । কিন্তু আজ থেকে রেলপথে আসানসোল মালদা ডিভিশন এর যাত্রীরাও যাতায়াত করতে পারবেন। আজ থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা।
মোট ৪০ জোড়া ট্রেন চলবে এই পথে। এরমধ্যে ত্রিশটি ট্রেন চলবে হাওড়া ডিভিশনে। ৩৩ ট্রেন চলবে আসানসোল ডিভিশনে ও আঠারোটি ট্রেন চলবে মালদা ডিভিশন। বর্ধমান রামপুরহাট এর মধ্যে আটটি ট্রেন চলবে। রামপুরহাট দুমকা জসিডি মধ্যে চলবে দুটি ট্রেন। আজিমগঞ্জ রামপুরহাট এর মধ্যে চারটি ট্রেন চলবে বলে জানা গেছে। আসানসোল ডিভিশনে তেত্রিশটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে যার মধ্যে বর্ধমান আসানসোল এর মধ্যে চলবে ১৫ টি ট্রেন।
কলকাতার লাগোয়া শহরতলীর বাইরে থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। মূলত সেই সব মানুষদের জন্য রেল পরিষেবা কে আরো বিস্তৃত করার কথা ছিল। কালীপুজোর আগে হাওড়া শিয়ালদা স্টেশন থেকে শুধুমাত্র শহরতলীর লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ট্রেন চলাচলের অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার।