কলকাতা ব্যুরো: শনিবার সকাল থেকে আবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। বেআইনি কয়লা, বালি ও পাথরের খাদানকে কেন্দ্র করে যে বিপুল পরিমাণ কালো টাকার ব্যবসা চলছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। আসানসোল, দুর্গাপুর, রানীগঞ্জ, ঝরিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা সহ রাজ্যের ৩০ টি জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই কয়লা ও বালি খাদানের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় আয়কর দপ্তর ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছিল। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথিপত্র উদ্ধার করেছিল আয়কর দপ্তর।
এদিন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা একযোগে প্রায় একই জায়গায় তদন্ত শুরু করেন। তল্লাশি চালানো হয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বাড়িতে ও অফিসে। যদিও কয়লা পাচারের মামলায় এখনো কোন তদন্তকারী সংস্থা কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে যেভাবে বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বেআইনি কয়লা ও বালি নিয়ে তদন্তে মাঠে নেমেছে, তাতে এই মুহূর্তে এই বাবস্যায় কালো টাকার লেনদেন কিছুটা হলেও থমকাবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
বর্ষিয়ান পুলিশ অফিসারদের ধারণা, তদন্ত কোন দিকে এগোবে সেটা এখনই বোঝা না গেলেও, একটি বিষয়ে স্পষ্ট, ওই কালো টাকার লেনদেন আপাতত বন্ধ করাi লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির। তাই ধরপাকড়ের আগেও তল্লাশি এবং নথি সংগ্রহের নামে এই বেআইনি কারবারে বাড়তি চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
যদিও ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং কলকাতার বেশকিছু রাঘব বোয়ালের সঙ্গে দহরম মহরম থাকা কিছু ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যেই এই তদন্ত নজরদারির মধ্যে এনে ফেলেছে সিবিআই ও আয়কর দপ্তর। এই তদন্তে যে কোনো সময় হাত লাগাতে পারে এনফর্সমেন্ট ডাইরেক্টর বা ইডি। ফলে রাজ্যে কালো টাকা পাচারের অন্যতম ব্যবসা কয়লা এবং গরু পাচার চক্র নিয়ে প্রায় একই সঙ্গে এবং সমানতালে তদন্ত ও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি।