কলকাতা ব্যুরো: বেশ কিছুদিন ধরেই আড়ালে, চুপেচাপে চলছিল। কিন্তু আর মনে হয় দ্বন্দ্ব ঢেকে রাখা গেলো না। নন্দীগ্রাম দিবসে সম্মুখ সমরে দু’পক্ষ। মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রাম গোকুল নগরে ভূমি রক্ষা কমিটির আড়ালে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা প্রদর্শন, আর অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস তার কয়েক ঘণ্টা পরে নন্দীগ্রামেই হাজরা কাটায় শহীদ দিবস পালনের ডাক দিয়েছে। ভূমি রক্ষা কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল নেতা, এখনো রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী। অথচ তার ডাকা সভায় থাকবে না তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ঝান্ডা।
আবার শেষ মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রামে এই একই কর্মসূচি নিয়েছে বেলা তিনটার সময়। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, পূর্ণেন্দু বসু, দোলা সেন। সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীরও।
তৃণমূলের তরফে আবু সুফিয়ান দাবি করেছেন, তৃণমূল যে সভা করবে সেখানেই থাকবেন প্রকৃত তৃণমূল কর্মীরা। আবার জমি বাঁচাও কমিটির তরফে শুভেন্দু অনুগামীদের বক্তব্য, নন্দীগ্রামে আন্দোলনে দাদা সামনের সারিতে ছিলেন। তার নেতৃত্বে হয়েছিল আন্দোলন। তাই তার ডাকে মঙ্গলবার এর অনুষ্ঠানে আসবেন হাজার হাজার মানুষ, দাবি শুভেন্দু অনুগামীদের।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ‘আমরা দাদার অনুগামী’ এই ব্যানারেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে নানান কর্মকাণ্ড। সোমবার হিন্দ মটর, উত্তর পাড়া এলাকায় এমনই ব্যানার নিয়ে ঘুরেছেন কিছু যুবক। যাদের দাবি, তারা সকলেই তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী।
কলকাতায় দলের প্রভাবশালী নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, আলাদা করে সভা করা উচিত নয় শুভেন্দুর। দলের তরফে যে সভা হচ্ছে সেখানেই তার থাকার কথা।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই নন্দীগ্রাম। আর তার ঠিক এক দশক পরে আরও একটি বিধানসভা ভোটের আগে সেই নন্দীগ্রামে এখন অন্যতম গলার কাঁটা হয়ে উঠছে তৃণমূলের কাছে।