কলকাতা ব্যুরো: স্মরণীয় রবিবার। দেশে বিদেশে যেখানে যত মানুষ দেশের জন্য লড়াই করেছেন তাদের স্মরণে পালিত হয় এই দিনটি। সারা বিশ্বজুড়ে স্মরণ করা হয় এমন কিছু মানুষকে যারা অন্যের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন। দেশের জন্য ডান করেছেন জীবন। কলকাতাতেও ময়দানে আজ পালিত হলো এই দিনটি। সকলেই গিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন পুষ্পস্তবক দিয়ে। যাদের জন্য আজ আমরা নিরাপদ, কিন্তু তারা আমাদের নিরাপদে রাখতে গিয়ে নিজেদের জীবন দান করেছেন।
এই স্মরণীয় দিনের কথা উঠে আসছে কানাডিয়ানদের নিজেদের ভূমি রক্ষায় গিয়ে জীবন দানের কথা স্মরণে রেখে। আবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলো মূলত সেনা জওয়ানদের স্মৃতি রক্ষার্থে এই দিনটি পালন করে। কলকাতার ময়দানে এমনই একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র সেনা জওয়ানদের জন্য নয়, দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করতে গিয়ে জীবন দান করা কোনও না কোনও সাহসী বীরদের স্বরণ করার জন্য। কোথা থেকে শুরু এমন স্বরন দিবস? প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছিল ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর সকাল এগারোটার সময়। সেই উপলক্ষে কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশন প্রতিবছর রিমেম্বার স সানডে বা স্মরণীয় রবিবার পালনের উদ্যোগ নেয়। মূলত প্রতিবছর নভেম্বরের দ্বিতীয় রবিবারকে ধরা হয় এই অনুষ্ঠান পালনের দিন হিসেবে। দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় বেলা ১১ টার সময়। এরপর মাল্যদান করা হয় শহীদ স্মৃতিতে।
এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে অনুষ্ঠান। শুধু ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশন নয়, ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌ বাহিনীর অফিসাররা ও কলকাতা পুলিশ সহ বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্য ছাড়াও, বিভিন্ন পেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন।