কলকাতা ব্যুরো: গত কিছুদিন ধরে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে চলতে থাকা ক্ষোভ বিক্ষোভ শনিবার চরম আকার নিল হাওড়া স্টেশনে। এদিন সন্ধ্যেবেলায় কয়েক হাজার যাত্রী রেল কর্মীদের জন্য ছাড়া স্পেশাল ট্রেনে ওঠার জন্য হাওড়া স্টেশনে ঢোকার চেষ্টা করলে, রেল পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ বেঁধে যায়। যাত্রীরা স্টেশন ঢুকাতে চেষ্টা করে। যদিও পুলিশের বাধা টপকে গেট ভেঙেই কিছু যাত্রী ভিতরে ঢুকে পড়লে, পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এই অবস্থার মধ্যেই এতদিনে রাজ্য সরকারের তরফে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লোকাল ট্রেন চালু করতে বৈঠকের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। শনিবারই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদি চিঠি লিখেছেন। রাজ্যের বক্তব্য, এখন দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিকভাবে চালু হয়ে গেছে। বাস চলছে। দূর পাল্লার স্পেশাল ট্রেন চলছে। এমনকি গত মাস থেকে মেট্রো রেল চালু হয়েছে। এই অবস্থায় লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য রাজ্য আলোচনায় বসতে চায়। প্রসঙ্গত এর আগে রেলের থেকে দাবি করা হয়, রাজ্যকে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে একাধিকবার বৈঠকের জন্য আহ্বান করা হ লেও সরকারের তরফে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
এদিকে এদিন হাওড়া স্টেশনে রেল কর্মীদের জন্য ছাড়া স্পেশাল ট্রেন চড়তে গিয়ে কয়েক হাজার সাধারণ যাত্রী ভিড় করেন স্টেশন চত্বরে। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন জিআরপি এবং আরপিএফ এর সঙ্গে তাদের প্রথমে বাদানুবাদ থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। একসময় যাত্রীর চাপে গেট এর একাংশ ভেঙে যাত্রীরা জলের তোড়ে হু জুহু করে ভিতরে ঢুকতে শুরু করেন। তখন পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ মহিলারাও পুলিশের লাঠি থেকে ছাড় পাননি। বেশ কয়েকজন যাত্রী ভিড়ের মধ্যে পড়ে গিয়ে জখম হন। যদিও রেল পুলিশ লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
এর আগেও সোনারপুর, হুগলি সহ বিভিন্ন জায়গায় রেল কর্মীদের জন্য চলা স্পেশাল ট্রেনে ওঠা নিয়ে রেল পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় যাত্রীদের। যাত্রীদের একটা বড় অংশের দাবি, লোকাল ট্রেন চালু করতে হবে এ ব্যাপারে বিজেপির সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত দুর্গা পুজোর আগেই রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। এতদিনে রাজ্যের এ ব্যাপারে সারা মেলায় এক অফিসার বলেন, তাহলে আর লোকাল ট্রেন চালাতে খুব বেশি দেরি হওয়ার কথা নয় কারণ রেল লোকাল ট্রেন চালানোর সবরকম প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।