কলকাতা ব্যুরো: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মণ্ডপে গত দুদিন ভিড় না হলেও, অষ্টমীর সকালে ভেঙে পড়ল সব নির্দেশ। সকাল থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপে অঞ্জলীর ধুম পড়ে যায়। মাইকে অঞ্জলির মন্ত্র পড়েন পুরোহিত আর মন্ডপের বাইরে দাঁড়িয়ে চলতে থাকে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া। নেটিজেন দের একাংশ শুরু করেন বিরোধিতা। পাল্টা যুক্তিও চলতে থাকে।

যদিও এবার করোনা আবহে অঞ্জলি, সন্ধিপুজো এবং সিঁদুর খেলার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এমনকি প্রথমদিনের নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার দাবিতে দ্বিতীয় দিনে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে যে আবেদন করা হয়েছিল, তখনও নির্দিষ্টভাবে অঞ্জলি থেকে সিঁদুর খেলার মত যে প্রথাগত সংস্কৃতি মানার চল রয়েছে, এবার সে সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

যদিও সকাল থেকে সে নির্দেশ মানার ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকেই তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। দলে দলে মহিলারা গিয়ে ভিড় জমিয়েছেন মন্ডপের ধারেপাশে। আর পুরোহিত দফায় দফায় অঞ্জলির মন্ত্র উচ্চারণ করেছেন।
পুজো উদ্যোক্তাদের অবশ্য দাবি, হাইকোর্ট ভিড় করতে বারণ করাই টা মেনে চলা হচ্ছে। মাত্র কয়েকজন করে মহিলাকে নো এন্ট্রি জোনের বাইরে দাঁড় করিয়ে, অঞ্জলীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন নির্দেশ অমান্য করা হয়নি। এমনকি অঞ্জলীর ফুল-বেলপাতা যাতে না ঠাকুরের দিকে ছোড়া হয় সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আবার অঞ্জলি দিতে যাওয়া মূলত মহিলাদের বক্তব্য, আদালত ভিড় না করতে বলেছিল। কোনমতেই ভিড় করা হয়নি। সে কারণেই কোথাও এক ঘণ্টা আবার কোথাও দু’ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলে অঞ্জলি।

যদিও এবার বারোয়ারি পুজো বন্ধ করতে মামলা দায়েরকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বিষয়টার দিকে নজর রাখছি। প্রয়োজনে আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করব পুলিশ কর্তাদের কাছে।