কলকাতা ব্যুরো: দেশে আরও নেমে গেল সংক্রমণ। কিন্তু খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কথায় স্পষ্ট, সতর্কতা সামান্য আলগা করলেও বিপদ একেবারে বিপর্যয় ডেকে আনবে। কেরালার ওনাম উৎসব পরবর্তী পরিস্থিতি সরকারের সামনে উদাহরণ। করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে মডেল ধরা হয়েছিল কেরালাকে। প্রশংসা করেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। দৈনিক সংক্রমণ নেমে গিয়েছিল হাজারের নিচে। ওনামের পর সেই দৈনিক পরিসংখ্যান বাড়তে বাড়তে রবিবার ১১ হাজারের ওপরে উঠে যায়। ছোট্ট রাজ্যটিতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক লক্ষের কাছাকাছি।
হর্ষবর্ধন তাই বলেছেন, ধর্ম এবং ঈশ্বর কাউকে জাঁকজমক করে উৎসব করে প্রাণ বিসর্জন দিতে বলে না। বাড়িতে বসেও পুজো দেওয়া যায়। পুজোর ধাক্কায় করোনা সংক্রমণ সুনামির চেহারা নিতে পারে বলে শঙ্কিত সরকার। গুজরাটে তাই গরবা নাচ এবার নিষিদ্ধ। কিন্তু দুর্গোৎসবে কোথাও নিষেধাজ্ঞা নেই। উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে সেই চেষ্টা হলেও বাঙালি আবেগের সামনে উড়ে গিয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে সংক্রমণ এখন যতই কম মনে হোক, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করলে ফলভোগ করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা লাগাতার সতর্ক করে চলেছেন।
বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থরা করোনা আক্রান্ত হলে কী অবস্থা হয়, তার প্রমাণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার চিকিৎসার চেয়ে সৌমিত্রের ক্ষেত্রে বেশি নজর দিতে হচ্ছে তাঁর কোমরবিডিটি ও বয়সজনিত সমস্যার চিকিৎসায়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ নেমে হয়েছে ৬৬,৭৩২। সুস্থতাও নেমে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৭১,৫৫৯ জন। সুস্থতার হার সোমবারের পরিসংখ্যানে ৮৬.৩৬।
দেশে এদিন পর্যন্ত সংক্রমণ মুক্তের মোট সংখ্যা ৬১,৪৯,৫৩৬। মোট আক্রান্ত এখন পর্যন্ত ৭১,২০,৫৩৯ জন। মৃত্যুহার কিছুটা কমেছে। ওই হার এখন ১.৫৩। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৮১৬। রাজ্যে মৃতের মোট সংখ্যা এখন ১,০৯,১৫০।