কলকাতা ব্যুরো: সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে কুলতলীর গ্রামে ঢোকা বাঘিনীর খোঁজে এখন বনদপ্তর ও গ্রামবাসীরা। বাঘ ধরতে সোমবার রাত থেকেই কুলতলীর বৈকুন্ঠপুর গ্রামে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে চারদিক থেকে জাল দিয়ে ঘেরা কাজ শুরু করেছে বনদপ্তর। তবে বাঘ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে গ্রামবাসীদের ধারণা, একটি পূর্ণবয়স্ক অন্তঃসত্ত্বা বাঘিনী এটি।
সোমবার সন্ধ্যেবেলায় বৈকুন্ঠপুর গ্রামের ভীম নায়েকের বাড়ির গোয়ালে হানা দিয়ে বাঘিনী একটি গরুর উপর হামলা চালায়। গরুর চিৎকারে বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এলে, তাড়াতাড়ি সেখান থেকে পালিয়ে যায় বাঘিনী। এরপর বাঁধের রাস্তার উপরে উঠে দীর্ঘক্ষন সেখানেই শুয়ে থাকে। গ্রামবাসীরা বলছেন, প্রায় চার ঘন্টা ধরে সেখানেই গা এলিয়ে শুয়ে থাকে। এদিকে রাতভর গ্রামবাসীরা ওই এলাকায় পাহারায় থাকলেও বাঘিনী নদীর ধারে জঙ্গলে সারারাত শুয়েছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের।

এদিকে আবার ভোর রাত থেকে নদীর উল্টো দিকে আজমলের জঙ্গল থেকে একটি পুরুষ বাঘের ডাক শোনা গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এদিন সকালেও নদীর ধারে ওপার থেকে সেই বাঘের অবস্থান অনেকেই দেখতে পেয়েছেন। ফলে অন্তঃসত্ত্বা বাঘিনীর টানে নদী পেরিয়ে সেই বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে কিনা, এখন তা নিয়েই একদিকে আতঙ্ক ও অন্যদিকে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
আজমলমারির থেকে জঙ্গল ঠাকুরান নদী পেরিয়ে ভাটার সময় এতটাই জল কমে যায় যে হরিণ গা ভাসিয়ে চলে আসে এ পারে। আবার অনেক সময় বিকেল বা দুপুরের দিকে নদীর ধারে জঙ্গলের দিকে শীতের সময় বাঘকে গা এলিয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছেন গ্রামবাসীরা। এমনকি ওই নদী পেরিয়ে জঙ্গল থেকে জোড়া বাঘের গ্রামে ঢুকে পড়ার ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। তাই যতক্ষণ না এই বাঘিনী বন্দি হচ্ছে, ততক্ষণ নতুন করে আবার একটি বাঘ ঢুকে পড়ার আশঙ্কা এখন গ্রামবাসীদের। বনদপ্তর জানিয়েছে, বাঘিনীটিকে ধরার জন্য জঙ্গলের মধ্যেই খাঁচা পাতার কাজ শুরু হয়েছে।