কলকাতা ব্যুরো: মণীশ শুক্লা খুনে সিআইডি তদন্তভার হাতে নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে যেতেই উত্তেজনা ছড়াল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। এদিন সকাল থেকেই বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিটি রোডে প্রায় এক কিলোমিটার অন্তর অন্তর দলবেঁধে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন বিজেপি সমর্থকরা। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ করা হয়। সকাল থেকেই পুলিশও তাদের অবরোধ তুলতে অনুনয়, বিনয় করে। বিজেপির দাবি ছিল, দুপুরের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু দুপুরে সিআইডি টিম ঘুরে যাওয়ার পরেই অবরোধকারীরা মারমুখী হয়ে ওঠে।
পুলিশও প্রথমে লাঠিচার্জ করে। এরইমধ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, বোতল এমনকি বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরই পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। আনা হয় জলকামান। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে টিটাগড়- ব্যারাকপুর এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের প্রায় খন্ড যুদ্ধ বেধে যায়। টিটাগড়ে যখন পুলিশ জনতা -খন্ড যুদ্ধ চলছে, ঠিক তখনই, কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের সামনে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়ায়। বিজেপি নেতাদের পুলিশ হাসপাতাল মর্গে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এদিন বিকেলে মণীশ শুক্লার দেহের ময়না তদন্ত হবে এনআরএস হাসপাতালে মর্গে। তাই কৈলাশ বিজয়বর্গী, মুকুল রায়ের মত বেশকিছু বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা ময়না তদন্তের জায়গায় ঢোকার জন্য গেলে, প্রথমে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকশো বিজেপি সমর্থক। তাদের ঢুকতে কলকাতা পুলিশ বাধা দিলে, ব্যাপক গোলমালের সৃষ্টি হয়। পরে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পুলিশ বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের হাসপাতালে ঢুকতে দিলেও সমর্থকদের বাইরে রেখে দেয়।