কলকাতা ব্যুরো: এ রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদার সীমান্ত চৌকি নওদা থেকে বিএসএফ জওয়ানরা ২৫০ বোতল ফেনসিড্রিল এবং মোবাইল ফোন সহ এক ভারতীয় পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। অন্য একটি ঘটনায় বিএসএফ জওয়ানরাl গোপালনগরের সীমান্ত অঞ্চল থেকে ২০০ বোতল ফেনসিড্রিল আটক করেছে, দুই ঘটনার উদ্ধার করা বস্তুর বাজার মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা ।
৩০ আগস্ট, বিএসএফের গোয়েন্দা শাখা ভারতীয় পাচারকারীদের দ্বারা ফেনসিডিলের অবৈধ চোরাচালান সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছিল। তথ্য পেয়ে নওদা সীমান্ত চৌকির জওয়ানরা সতর্ক হয়। জওয়ান রা ইতিমধ্যে বসে থাকার কারণে প্রায় রাত পৌনে ১১ টা নাগাদ যখন পাচারকারীরা পোটলা (প্লাস্টিকের ব্যাগ) সহ ব্যারিকেডের কাছাকাছি আসে।
বিএসএফ জওয়ানরা তাদের থামার চ্যালেঞ্জ জানায়, এরপরে চোরাচালানীরা জওয়ানদের আক্রমণ করার এবং জওয়ানদের চোখে একটি শক্তিশালী টর্চ জ্বালানোর অভিপ্রায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জওয়ানদের উপর আক্রমণ শুরু করে।বিপদ অনুভব করে জওয়ানরা আত্মরক্ষার জন্য ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপদ দিকে একটি স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
তবে চোরাচালানীরা জওয়ানদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে, যার ফলে জওয়ানরা আবার একটি অ-প্রাণঘাতী অস্ত্র (পাম্প অ্যাকশনগান) চালায়। তখন । অবস্থা বেগতিক বুঝে
সেখান থেকে পাচারকারীরা পোটলাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বিএসএফ কর্মীরা ধাওয়া করে এবং ২৫০ বোতল ফেনসিডিল এবং একটি মোবাইল সহ এক চোরাকারবারীকে ধরতে সক্ষম হয়।
জেরার সময় ইকরামুল, কালিয়াচকের বাসিন্দা বলে স্বীকার করে। তাঁর সহকর্মীদের নামও প্রকাশ করেছে।
অন্য একটি ঘটনায়, সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ গোপালনগর, ২৪ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা কয়েকজন পাচারকারীকে ঘুরতে দেখে challenge করে। কিন্তু পাচারকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার পাম্প অ্যাকশন গান থেকে গুলি করে জওয়ানরা। পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।এতে কারও কোনো ক্ষতির খবর নেই। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।