কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা পুরভোটে রবিবার সকাল থেকেই অশান্তির অভিযোগ আসছে। কোথাও এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, তো কোথাও প্রার্থীকেই হেনস্থার অভিযোগে সরগরম তিলোত্তমা। ভোটে অশান্তি পাকানোর অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানালো কলকাতা পুলিশ। এদিন সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার ছবি সামনে আসে। জোড়াবাগান এলাকায় কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্দল প্রার্থীদের মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
ক্রিস্টোফার রোডে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চন্দন দাসকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, সি সি ক্যামেরা বিকল খবর পেয়ে বুথে ঢুকতে গেলে ধাক্কাধাক্কি করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপন সাহা। ১০২, ১০৯, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি বুথে বাম এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এছাড়াও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে টি বোর্ডের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে ভোট দেওয়ানো হচ্ছিল। ভুয়ো ভোটার ধরে ফেলার দাবি করেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দেয় তৃণমূল। পাশাপাশি জোড়াবাগান এলাকায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মুকুন্দ ঝাওয়ারকে মারধর, বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন সকালে আহিরীটোলা বঙ্গ বিদ্যামন্দিরে উত্তেজনা ছড়ায়। জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ জানাতে যান বিজেপি প্রার্থী।