এক নজরে

#BharatBandh: ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব জেলায় জেলায়

By admin

March 28, 2022

কলকাতা ব্যুরো: বাম শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ভারত বনধের প্রথম দিনেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি রাজ্যে। সোমবার সকালেই কলকাতা শহরের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়ে মিছিল করে বনধ সমর্থনকারীরা। দমদম মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্কেও বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখায় বাম সমর্থকরা। একাধিক জেলাতেও বনধের সমর্থনে মিছিল বের করেছেন ধর্মঘটীরা।

কেন্দ্রের একাধিক জনস্বার্থ বিরোধী নীতির প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠন। এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শহর কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র তার প্রভাব পড়েছে। কলকাতায় সকালেই একাধিক জায়গায় মিছিল এবং পথ অবরোধ করেন ঘর্মঘটীরা। সাত সকাল দমদম মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মী সমর্থকরা। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করতে দেখা গিয়েছে ধর্মঘটীদের।

তবে কেন্দ্রীয় বাম সংগঠনের ট্রেড ইউনিয়নের যুগ্ম ফোরামের ডাকে ৪৮ ঘন্টা ভারত বনধে কোনও প্রভাব পড়েনি কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সকাল থেকেই বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক। যাত্রী পরিষেবা দিতে ট্যাক্সি ক্যাব অন্যান্য সাধারণ দিনের মতোই  চলছে।

তবে এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর চত্বর। সাত সকালে যাদবপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে রেললাইন ও ট্রেনের উপরে উঠে যান তাঁরা। সকালেই শ্যামনগর স্ট্রেশনে পথ অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। শিয়ালদহ মেন শাখায় একাধিক জায়গায় রেল অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছে। যাদবপুর স্টেশনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বাম কর্মী সমর্থকরা। যাদবপুরের এইট-বি বাস স্ট্যান্ড থেকে সুলেখা মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন ধর্মঘটিরা।

জেলাগুলিতেও বনধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকেই রাজ্যের প্রায় সর্বত্র পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ধর্মঘটীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরেও বনধের সমর্থনে মিছিল করেছেন ধর্মঘটীরা। তার জেরে দাঁতনের বামনপুকুর এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে শতাধিক গাড়ি। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বনধের সমর্থনে মিছিল হয়েছে বীরভূম জেলাতেও। বীরভূমের রামপুরহাটে মিছিল করেন ধর্মঘটীরা। বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে রামপুর হাটে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বনধের প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে কোচবিহারে সকাল থেকেই বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছেন ধর্মঘটীরা।

কোচবিহার শহরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। একটি বাসও ভাঙচুর করেছে ধর্মঘটীরা। পিকেটিং করা নিয়ে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তেমন প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনধের সমর্থনের অশান্তি আরও বাড়ছে। শহর থেকে জেলা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। একাধিক জেলা থেকে অশান্তির খবর আসতে শুরু করেছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পর বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ধর্মঘটীদের সঙ্গে তুমুল বচসা বাঁধে পুলিশের। বিষ্ণুপুরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে বাস আটকাতে গেলে ধর্মঘটীদের সঙ্গে তুমুল অশান্তি বাধে পুলিশের। অভিযোগ সরকারি বাসকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ তাতে বাধা দিলে তুমুল বচসা বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বনধ সমর্থকরা। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে রাস্তার মধ্যে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান অনেকে।

এছাড়া বাঁকুড়ার সারেঙ্গাতেও পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ধর্মঘটীরা। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ যায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনের বনধ সমর্থকরা রেল অবরোধ করে। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। বনধের প্রভাব পড়েছে হুগলিতেও। চূঁচড়া বাস টার্মিনাস থেকে একটি সরকারি বাস বেরোয়নি। কলকাতায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখায় বাম কর্মী সমর্থকরা।