কলকাতা ব্যুরো: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুজোর আগেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলো জেলা প্রশাসন হাওড়ায় জেলায় ৩০টি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ফের কনটেনমেন্ট জোনের নিয়ম জারি হবে এই ৩০টি এলাকায়। জেলাশাসক মুক্তা আরিয়া জানালেন, নতুন করে কোনও নিয়ম চালু করা হচ্ছে না ৷ কনটেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে আগের যেসব বিধি-নিষেধ ছিল সেগুলিই লাগু থাকবে ৷ পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে ৷
হাওড়া সদরের কনটেনমেন্ট জোনগুলি হল- নস্করপাড়া রোড, রামকৃষ্ণ মন্দির পথ, রোজমেরি লেন, শৈলকুমার মুখার্জি রোড, গোপাল ব্যানার্জি লেন, রামেশ্বর মালিয়া লেন, আন্দুল রোড, নবনারীতলা ফার্স্ট লেন, যদু মুখার্জি লেন, নর্থ বাঁকসাড়া, ডা. পিএন ঘোষ রোড, গোস্বামীপাড়া রোড, আশুতোষ মুখার্জি লেন, সারেঙ্গা সাঁকরাইল, জোরহাট সাঁকরাইল, দুলিয়া সাঁকরাইল এবং বালুহাটি হাটতলা ৷

পাশাপাশি উলুবেড়িয়ার কনটেনমেন্ট জোনগুলি হল- আমতা-২ ব্লকের বিকে বাটি, ঝিকিরা, থালিয়া, ঝামটিয়া, ঘোড়াবেড়িয়া চিটনান এবং জয়পুর এই তালিকাভুক্ত ৷ শ্যামপুর-২ ব্লকের দেহিমণ্ডলঘাট-২ এবং বাগনান-২ ব্লকের আনটিলা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়েছে ৷ আবার শ্যামপুর-১ ব্লকের রাধাপুর, ডিঙ্কাখোলা, শ্যামপুর এবং কামালপুরকেও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷

এর আগেও গত জুন মাসে হাওড়া জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কনটেনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেনন্টমেন্ট জোনের ঘোষণা করা হয়। এই মুহূর্তে হাওড়া জেলায় কনটেনমেন্ট জোন না থাকলেও ছোট ছোট এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় এনে সংক্রমণ আটকানোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।