কলকাতা ব্যুরো: ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি পাহাড়ে। এবার বিপর্যয় নামলো উত্তরাখণ্ডে। সোমবার সকালে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগঢ় জেলার ধরচুলার জুম্মা গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে। জলের তোড়ে ভেসে যায় একাধিক বাড়ি। এখনও অবধি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। খোঁজ মিলছে না সাতজনের।
বিগত কয়েক দিন ধরেই একটানা বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। তিনদিন আগেই ভারী বৃষ্টি ও ধসের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ঋষিকেশ-দেবপ্রয়াগ, ঋষিকেশ-তেহরি ও দেহরাদুন-মুসৌরির রাস্তা। অন্যদিকে, জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে রানি পোহরি ব্রিজও। সেই সময়ই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল, মাসের শেষ অবধিই বৃষ্টি চলবে। উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়।
এরপরই আজ সকালে খবর মেলে ধরচুলার জুম্মা গ্রামে মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নামে। জলের তোড়ে কমপক্ষে সাতটি বাড়ি ভেসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনজনের মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। মাটির নীচে পাঁচজন চাপা পড়ে গিয়েছে বলেও জানা যায়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী নিজেও টুইট করে বিপর্যয়ের কথা জানান।
ইতিমধ্যেই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বেশ কয়েকটি দল ঘটনাস্থানে পৌঁছেছে। বৃষ্টি মাথায় করেই শুরু করা হয়েছে উদ্ধারকার্য। নিখোঁজ সাতজনেরও খোঁজ চালানো হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ধরচুলার এনএইচপিসি কলোনিতে জল জমে গিয়েছে।
আবহাওয়া দৎৃফতর সূত্রে শনিবারই নৈনিতাল, বাঘেশ্বর ও পিথোরাগঢ়ে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল ২৯ ও ৩০ অগস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী গাড়ওয়াল অঞ্চলে ধস বিধ্বস্ত এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শন করেন। দেবপ্রয়াগ, তোতাঘাটু, তিনধারা, ঋষিকেশ, রানিপোখরি, নরেন্দ্রনগর, ফাকোট ও চাম্বা অঞ্চল ঘুরে দেখেন তিনি।
অন্যদিকে, মালদেবতা-সহস্রধারার মধ্যে সংযোগকারী রাস্তার মাঝেও আচমকাই বিশাল মাপের গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল ভারী বৃষ্টির জেরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশের নদীর গ্রাসে চলে যায় গোটা রাস্তাটিই। সেই ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োয় দেখা যায়, ব্রিজের মাঝখানের অংশটি সম্পূর্ণ রূপে বসে গিয়েছে। নদীর জলের স্রোত বাড়তেই গাড়ি ছেড়ে ব্রিজ থেকে পালিয়ে আসছেন গাড়ির চালক।