কলকাতা ব্যুরো: কাল, বৃহস্পতিবার বাম ও কংগ্রেসের ডাকা ধর্মঘটে রাজ্যে বেসরকারি বাস পরিষেবা কতটা স্বাভাবিক থাকবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। মঙ্গলবার রাজ্য পরিবহন দপ্তর বৈঠকে বসেন সব বেসরকারি বাস, মিনিবাস সংগঠনের সঙ্গে। কিন্তু বৈঠকে ছিল না জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। অন্য সংগঠনগুলি তিন হাজার বাস বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামাবে বলে কথা দিয়েছে রাজ্যকে। রাজ্য সরকার হাজার খানেক সরকারি বাস পথে নামাবে।
অন্যান্য সময় বিরোধীরা কোন বনধ ডাকলে তার বিরোধিতায় কোমর বেঁধে নামে রাজ্য সরকার। সে ক্ষেত্রে অনেকটাই হুইপ জারি হয় বেসরকারি পরিবহন সংগঠনগুলির ক্ষেত্রে। রাজ্য সরকার তার যাবতীয় ক্ষমতা দিয়ে সরকারি বাস রাস্তায় নামায়। কিন্তু এবার বিজেপি সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা যে ধর্মঘট ডেকেছে বাম ও কংগ্রেস, সেই ইস্যুগুলি নিয়ে তৃণমূল সরব রয়েছে। ফলে ধর্মঘটে আপত্তি থাকলেও বিজেপি বিরোধী এই ধর্মঘটকে অস্বীকার করছে না রাজ্যের শাসক দল। যদিও বৈঠকে পরিবহন সংস্থাগুলিকে ধর্মঘটে গাড়ি নামানোর জন্য বলেছে পরিবহন দপ্তর। এমনকি অন্যান্য ধর্মঘটে গাড়ি নামলে কোন ক্ষতি হলে বিমার ব্যবস্থা যেমন করা হয়, এবারও তেমন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য।
কিন্তু ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাস্তায় লোক কম নামবে, যেমনটা হয়ে থাকে অন্যান্য যেকোনো ধর্মঘটে। ফলে সকাল থেকে বাস বা ট্যাক্সি রাস্তায় নামলেও, বিকেলের পরে তা কতটা স্বাভাবিকভাবে চলবে সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় সরকারের চাপ থাকায় বাস-ট্যাক্সি এমনকি অটোরিকশা সকালের দিকে চলতে শুরু করলেও, বিকেলের পরে আর তাদের টিকি মেলে না। এক্ষেত্রেও তা হবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই। আবার জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বার সিন্ডিকেট বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় তাদের বাস কতটা নামবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
করোনা আবহে এমনিতেই চালক এবং কন্ডাক্টরের মন বুঝেই অনেকটাই গাড়ি রাস্তায় নামাতে হচ্ছে মালিকদের। আবার এবার ধর্মঘটে যদি চালক বা কন্টাকটার বাস নিয়ে বেরোতে রাজি না হন, সেক্ষেত্রে মালিকদের কিছু করার থাকে না। তাছাড়া বিকেলের পড়ে যাত্রী না পাওয়া গেলে শুধু শুধু তেল খরচ করে গাড়ি চালানো বিরোধী সকলেই। এই অবস্থায় কাল বেসরকারি শেষ পর্যন্ত কতটা স্বাভাবিক চলবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।