কলকাতা ব্যুরো: ক্যাগের দেওয়া রিপোর্ট কার্যকর করতে কি এবার ২৪ জন অধ্যাপক ও কর্মীর চাকরি যাবে বিশ্বভারতীতে?বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশকিছু অধ্যাপকের ও কর্মীকে শো কজ করার ফলে এখন এই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে। উপাচার্য সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মার্চের মধ্যে ক্যগের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে বেতন বন্ধ করে দেবে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।ফলে এখন দ্রুত ওই সমস্ত বেআইনি নিয়োগ করা কর্মী ও অধ্যাপকদের সরিয়ে দিতে তৎপর হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।এই সময়ের মধ্যেই আবার নানা ইস্যুতে অধ্যাপকদের তরফে পৃথক পৃথকভাবে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কারো ক্ষেত্রে পদের তুলনায় বাড়তি বেতন দেওয়া এখন তা কেটে নেওয়ার নোটিশ আবার কারো ক্ষেত্রে পদ নেই জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মামলা হয়েছে। অধ্যাপকদের মামলায় বক্তব্য, যদি কোন বেআইনি কর্তৃপক্ষ করে থাকে তার দায় তাদের হতে পারে না। যদিও মামলাগুলির এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত তার আমলে এমন বেআইনি নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তাদের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করেছেন। তার মধ্যে দুজনের রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়ে গিয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, সব রিপোর্ট জমা পড়ার পর প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা যায় কি না সে ব্যাপারে কথাবার্তা বলছে বিশ্বভারতী।