অয়ন ঘোষ, কলকাতা ব্যুরো: ১১ বছর আগেকার দান্তেওয়াড়ার স্মৃতিকে আবার নাড়া দিল ছত্তিশগড়ে। রবিবার দুপুরে মাওবাদীদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে শহিদ হলে ২২ জন সিআরপিএফ জওয়ান। তার সাথে আহত হয়েছেন আরও ৩১ জন এবং একজনে সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। গত শনিবার থেকেই ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে মাওবাদী দমন অভিযানে নেমেছিল সিআরপিএফ বাহিনী। আর সেই কাজেই রবিবার দুপুরে মাওবাদীদের সাথে শুরু হয় গুলি যুদ্ধ। প্রান হারান ২২ জন জওয়ান।
এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল ১১ বছর আগের একটি তারিখ – ৬ এপ্রিল ২০১০। ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ার চিন্তলনার গ্রামে অভিযানে গিয়ে মাওবাদীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ৭৬ জন। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রবিবার দুপরে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার মাওবাদী দমন অভিযানে ৫ জন আধাসেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ছত্তিশগড় পলিশের তরফে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২২।প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে মাওবাদীদের গুলিতে আহত জওয়ানদের মধ্যে ২৪ জন বিজাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ৭ জনের জখম গুরুতর হওয়ার জন্যে তাদের পাঠানো হয়েছে রায়পুরের হাসপাতালে। এই ঘটনায় উদবেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।রবিবার সকালে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল কুলদীপ সিং-ও পৌঁছে যান সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জানান যে নিখোঁজ জওয়ানদের খুঁজতে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে সুকমা-বিজাপুর সীমান্ত এলাকায়। পরে জানা যায় যে নিখোঁজ জওয়ানদের অধিকাংশেরই খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে ২২ জনই নিহত হয়েছেন মাওবাদীদের গুলিতে।