কলকাতা ব্যুরো: শনিবার দুপুরে রাজ্য সরকার রবিবার সকাল ছয়টা থেকে কার্যত ১৫ দিনের লকডাউনের ঘোষণা করতেই নতুন করে দুশ্চিন্তা ও আলোচনা বাড়তে থাকে। এরইমধ্যে সবজি বাজার তিন ঘন্টা খোলার অনুমতি দিয়ে, মিষ্টির দোকান কেন সাত ঘন্টা খোলা রাখার বাড়তি সুযোগ দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও এই আলোচনার মধ্যেই শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটেয় নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১৫ দিন রাজ্যে সমস্ত রকম মদ বিক্রি বন্ধের ঘোষণা করতেই এক লহমায় বদলে যায় শহর থেকে শহরতলীর ছবি।


ধর্মতলা, পার্কস্ট্রিট থেকে গাঙ্গুলি বাগান হয়ে ইএম বাইপাস, বেহালা, এমনকি মানিকতলা- যেখানেই মদের দোকান রয়েছে, সেখানে বিকেলের পরে পিলপিল করে ভিড় জমেছে, কোনরকম করোনার দূরত্ব বিধি না মেনে। ভিড় জমেছে মদের দোকানের সামনে বয়সের হিসাব ভুলে, সকলেই তখন নিজের কোটার মদ কিনতে মরিয়া। এমনকি বাইপাসে এক বহুতলের সামনের চার – পাঁচ টি মদের দোকানে লাইন সামাল দিতে গিয়ে বাই লেনে গাড়ি চলাচল পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এই শহরের বাইরে অন্যত্র একই ছবি। মাস্ক মুখে থাকলেও কোন রকম ভাবে দূরত্ব বজায় না রেখেই চলেছে মদ কেনা। আর মদ কিনে বেরিয়ে যুদ্ধ জয়ের হাসি। গত বছর যেমন হয়েছিল লক ডাউনের আগে এরাজ্যে মদ নিয়ে ছবি, তাই যেনো ফিরলো এদিন।


এদিন রাজ্য সরকার দুপুরেই জানিয়ে দিয়েছে, জরুরী পরিষেবা এবং সবজি-ফলের জন্য সকাল সাত টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সব বাজার খোলা থাকবে। তাছাড়া শুধুমাত্র মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে বেলা দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
এর বাইরে স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি অফিস যাবতীয় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে আগামী ১৫ দিনের জন্য। এই সময়ের মধ্যে যারা শুধুমাত্র জরুরী পেশার সঙ্গে যুক্ত তাদের যাতায়াতের পরিবহন ব্যবস্থা দেওয়া হবে জরুরী পরিষেবা হিসেবে।
তবে হোটেলগুলোতে বোর্ডারদের থাকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি হবে তা নিয়ে অবশ্য রাত পর্যন্ত স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি নবান্ন। হোটেল মালিকরা বিষয়টি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version