কলকাতা ব্যুরো: কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার পরেই শুরু রক্তবমি। আশ্চর্যজনকভাবে মৃত্যু হলো ১৩ বছরের কিশোরীর। জানা গিয়েছে, কোল্ড ড্রিংকটি খাওয়ার পরেই মেয়েটির সারা শরীর নীল হয়ে যায়। এমনই হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের বেসান্ত নগর এলাকায়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ের একটি মুদিখানা দোকান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে কোল্ড ড্রিংক কিনে খায় থারানি নামের ওই নাবালিকা। তারপরেই রক্তবমি করতে শুরু করে থারানি। এদিকে বাড়িতে তার বড় দিদি অশ্বিনী ছিল। সে সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা মাকে গোটা বিষয়টি জানায়। তাঁদের দ্রুত কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে বলে। এরপরই দ্রুত থারানিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই তার মৃত্যু হয়। ততক্ষণে থারানির গোটা শরীর নীল হয়ে গিয়েছে। 

এদিকে ঘটনার পরে খাদ্য নিরাপত্তা দফতরের আধিকারিকরা চেন্নাইয়ের শোলাভরমে অবস্থিত ওই কোল্ড ড্রিংক প্রস্তুতকারক সংস্থার অফিসে যান। অফিস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল, চেন্নাই জুড়ে অবস্থিত বিভিন্ন দোকান থেকে একই কোম্পানিরই কোল্ড ড্রিংক আরও ১৭ জন কিনেছেন। ইতিমধ্যেই বেসান্ত নগর এলাকার মানুষ গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। খাদ্য নিরাপত্তা দফতরের আধিকারিকরা ওই বোতলের ৫৪০টি নমুনা বিভিন্ন দোকান থেকে সংগ্রহ করেছেন।

তবে পরিবার সূত্রে খবর, থারানির হাঁপানির টান ছিল। চিকিৎসকরা তাকে যে কোনও রকমের কোল্ড ড্রিংকস খেতে বারণ করেছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার দেহ সরকারি রোয়াপেট্টা হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা যায়, ওই পানীয় তার শ্বাসনালীতে ঢুকে গিয়েছিল। ফলে মৃত্যু হয় তার। 

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চেন্নাই পুলিশ। পানীয়টির নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version