কলকাতা ব্যুরো: হিমাচলপ্রদেশের কিন্নর জেলায় প্রবল ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৪। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ আইটিবিপি-র প্রায় ২০০ জনের দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ৷ হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে ফোন করে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ ইতিমধ্যেই তিনি মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ৷
বুধবার সারারাত ধরে উদ্ধারকাজ চলেছে। তবে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল উদ্ধারের কাজ। ডেপুটি কমানড্যান্ট ধর্মেন্দ্র ঠাকুর জানিয়েছেন, আরও একবার ধস নামার কারণে উদ্ধারকাজ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল। ফের বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টে ৩০ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার ডেপুটি কমিশনার আবিদ হুসেন সাদিক জানিয়েছেন, বহু গাড়ি ধসের নিচে চাপা পড়েছে৷ হিমাচল সড়ক পরিবহণ নিগমের একটি বাসও তার মধ্যে রয়েছে, যেখানে বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ৷ তবে মাঝে মাঝেই পাহাড় থেকে পাথর খসে পড়ার ফলে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছিল।
বুধবার বেলা পৌনে একটা নাগাদ কিন্নৌরের রেকং পেয়ো-সিমলা হাইওয়েতে বিরাট ধস নামে ৷ ধসের নিচে একটি বাস, একটি ট্রাক ও কয়েকটি গাড়ি চাপা পড়ে ৷ বাসটি সিমলার অভিমুখে যাচ্ছিল বলে খবর ৷ ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (ITBP) এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে ৷
উল্লেখ্য, গত দু সপ্তাহ ধরে হিমাচলপ্রদেশের বিভিন্ন অংশে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে ৷ তার জেরে রাজ্যের নানা প্রান্তে ধসের ঘটনা ঘটছে ৷ গত মাসে কিন্নরেই ধসে বিরাট বোল্ডার ধেয়ে এসে কয়েকটি গাড়িতে ধাক্কা মারে ৷ মৃত্যু হয় ৯ জন পর্যটকের ৷ ধসে ভেঙে যায় একটু সেতু ৷ পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বোল্ডার নেমে আসার ভয়ংকর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ অপর একটি ঘটনায় সিরমৌরে প্রবল বর্ষণের পর পাহাড়ি একটি রাস্তা আচমকা বসে যায় ৷ সেই ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্টারনেটে ৷