কলকাতা ব্যুরো: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। এমনটা জানিয়ে শুক্রবার ন্যাটোর এক আধিকারিক বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক। ফলে গড়ে দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষকে কাবুল থেকে উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছে।’
বর্তমানে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য মরিয়া হাজার হাজার আফগান নাগরিক। প্রত্যেকেই কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিক জানান, তালিবানরা ভিসা পাসপোর্ট ছাড়াই নাগরিকদের দেশ ছাড়তে কোন বাঁধা অবশ্য দিচ্ছে না।আমেরিকা সেনা প্রত্যাহারের পরেই খুব দ্রুত আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবানরা। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন আত্মবিশ্বাসের সুরে জানিয়েছিলেন, মাত্র ৮৫ হাজার তালিবানের সঙ্গে লড়াইয়ে ৩ লাখ আফগান সেনাই যথেষ্ঠ। কিন্তু বাস্তবে যে চিত্র উঠে এলো তা এক প্রকার তালিবানের কাছে আফগানিস্তানের আত্মসমর্পণ। মুখে শান্তির বাণী শোনালেও অত্যাচার থেমে নেই তালিবানদের। গুলি, বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় বেরোলেই মারধরের ছবি উঠে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।বৃহস্পতিবার আসাদাবাদের পূর্বাঞ্চলে তালিবান জঙ্গিরা সাধারণ মানুষদের ওপর গুলি চালায়। সে সময় দেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল বের করেছিল স্থানীয় মানুষজন। একই রকম প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে পূর্ব জালালাবাদ এবং খোস্ত শহরেও। সেখানেও একটি সমাবেশে গুলি চালায় তালিবান। ন্যাটো জানিয়েছেন, রবিবার থেকে ১২ জন আফগান নাগরিককে হত্যা করেছে তালিবান।
যদিও তালিবান মুখপাত্রের দাবি বর্তমানে অনেক শান্ত রয়েছে কাবুল। এই পরিস্থিতিতে সেখানে আটকে পড়া ভিন দেশের বাসিন্দা এবং দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়া চলছে।