কলকাতা ব্যুরো: ঝালদায় কংগ্রেসের কালা দিবস পালনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। কংগ্রেসের মিছিলে বাধা দেওয়ায় পুলিশ ও কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনায় নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে পুলিশ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরেই বুধবার ঝালদায় ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠনের কর্মসূচি ছিল। সেই দিনেই ঝালদা পুর এলাকায় কালা দিবসের ডাক দেয় কংগ্রেস ৷ যে কর্মসূচিতে এদিন মিছিল করছিল কংগ্রেস। অভিযোগ কংগ্রেসের সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। আর মিছিল আটকানোর জেরে কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয় ৷ যার পর কংগ্রেস কর্মীরা জোর করে এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় ৷ এই মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রীর পূর্ণিমা কান্দু এবং কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো ৷
অভিযোগ পুলিশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি পূর্ণিমা কান্দুকে হেনস্থা করেছে ৷ আর তারই প্রতিবাদে সরব হয়েছে ঝালদা কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ প্রতিবাদে বুধবার ঝালদায় ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস ৷ এ দিনের বোর্ড গঠনের কর্মসূচিতে কংগ্রেসের কাউন্সিলররা অংশ নেবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তাঁরা শুধু শপথ নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানিয়েছিলেন ৷
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে ঝালদায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় ৷ যে ঘটনায় কংগ্রেসের তরফে সরাসরি শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় ৷ এমনকি তপন কান্দুর স্ত্রী এই ঘটনায় ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ৷ কিন্তু, পুরো বিষয়টিকে পারিবারিক অশান্তির ঘটনা বলে তপন কান্দুর ভাইপো এবং দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছিল ৷ পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল ৷ সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট সেই দাবি মেনে তপন কান্দু হত্যার মামলায় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে ৷
তবে এদিন ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়াল ৷ পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, তপন কান্দুর হত্যার পিছনে তৃণমূলের কোনও হাত নেই ৷ তাঁর সঙ্গে তপন কান্দুর সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল বলে দাবি করেছেন সুরেশ আগরওয়াল ৷ পাশাপাশি সিবিআই তদন্তে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে জানান ঝালদা পৌরসভার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ৷